বাণী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সরকারও এ খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে। বর্তমান বিশ্বের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সেক্টরের সাথে তথ্য প্রযুক্তিও ৎপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক অঙ্গীকারও রয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রাপ্তি এবং যোগাযোগের সর্বাধুনিক মাধ্যম হলো তথ্যপ্রযুক্তি। মৎস্য সেক্টর ও এর ব্যতিক্রম নয়। আর এর জন্য প্রয়োজন দক্ষতার সাথে কম্পিউটার চালনার উপযুক্ত জ্ঞান। তবে আশার কথা যে, মৎস্য অধিদপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সমাবেশ ঘটার ফলে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিবিধ বিষয় উপস্থাপনা, পত্র যোগাযোগ, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন তথ্যাদি ইন্টারনেটের মাধ্যম গ্রহণ ও প্রেরণ এবং ব্রাউজিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই অধিদপ্তর যথেষ্ট এগিয়ে গেছে। তাছাড় বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ স্থাপনও সম্ভব হয়েছে।
আমি জেনে আনন্দিত হয়েছি যে, বর্তমান বিশ্বের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশকে গুরুত্ব দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর একটি বৈচিত্রপূর্ণ ওয়েবসাইট স্থাপন করেছে। আরো জেনে আনন্দিত হয়েছি যে, উক্ত ওয়েবসাইটটি আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাইনামিক ওয়েবসাইটে রূপান্তর করা হয়েছে। আমি এও জেনেছি যে এ ওয়েবসাইটে বিশেষ করে ডেটা ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ মাঠ এবং কেন্দ্রিয় পর্যায়ে অতি স্বল্প সময়ে সার্বিক বিষয়ে চাহিদা মাফিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রণয়ন, প্রেরণ ও গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই ওয়েবসাইটটি স্থাপনের ফলে মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল স্তরের আপামর জনসাধারণ উপকৃত হবেন । ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠায় কৃর্তপক্ষকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠায় যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী অক্লান্ত ও নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
(কাজী শামস আফরোজ)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস