প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ:
|
||||
|
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল |
: |
|
|
|
ক. |
শুরুর তারিখ |
: |
জুলাই, 2020 |
|
খ. |
সমাপ্তির তারিখ |
: |
জুন, 2024 |
|
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় (লক্ষ টাকায়) |
: |
|
|
|
মোট |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
জিওবি |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
১.০ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্যাদি
1.১ প্রকল্পের পটভূমি
ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ও আমিষ সরবরাহে ইলিশের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ (প্রায় ১১ ভাগ) এবং জিডিপিতে অবদান ১%। উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ। প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় 80 শতাংশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে।
এক সময় দেশের প্রায় সকল নদ-নদী এবং নদীসমূহের শাখা ও উপনদীতেও প্রচুর পরিমানণ ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। বন্যা বা প্লাবনের বছরে নদীর সাথে সংযোগ আছে এমন সব বিল ও হাওরেও ইলিশ মাছ কখনও কখনও পাওয়া যেত। গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ আশির দশকে সংকটে পড়ে। আশির দশকের পূর্বে মোট মৎস্য উৎপাদনের ২০% ছিল ইলিশের অবদান। ২০০২-২০০৩ সালে ইলিশের অবদান দাঁড়ায় জাতীয় উৎপাদনের মাত্র 8% (1.99 মে.টন)। ইলিশ উৎপাদনের গতিধারায় লক্ষ্য করা যায় যে, বিগত ২০০০-২০০১ সালে ইলিশের উৎপাদন 2.29 মে.টন থাকলেও ২০০১-০২ ও ২০০২-০৩ সালে তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে 2.20 মে.টন এবং 1.99 মে.টনে পৌঁছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। এর অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে বিভিন্ন নদ-নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও কালভার্ট/ব্রীজ নির্মাণের কারণে এবং উজান হতে পরিবাহিত পলি জমার জন্য পানি প্রবাহ ও নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে এবং জলজ পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে ইলিশ মাছের পরিভ্রমণ পথ, প্রজননক্ষেত্র, বিচরণ ও চারণক্ষেত্র (ফিডিং এবং নার্সারি গ্রাউন্ড) দিন দিন পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে এবং আভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশ মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে ক্রমাগত বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, কর্মসংস্থানের অভাব, অতি কার্যকরী একতন্তু বিশিষ্ট ফাঁস জাল এবং মাছ আহরণের উন্নত পদ্ধতির প্রবর্তন ও নৌকা যান্ত্রিকীকরণের ফলে সামুদ্রিক জলাশয়ে ইলিশ মাছের আহরণ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের ইলিশ সম্পদ ধ্বংসের এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণটি হচ্ছে নির্বিচারে ক্ষতিকর জাল ও সরঞ্জাম দিয়ে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ। ইলিশের জন্য খ্যাত এক সময়ের পদ্মা, ধলেশ্বরী, গড়াই, চিত্রা, মধুমতি ইত্যাদি নদীতে বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ইলিশ মাছ প্রায় পাওয়া যায় না বলা যেতে পারে। এসব কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বিচারে অবৈধ জাল যেমন- কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, বেড় জাল, চর ঘড়া জাল, মশারী জাল, পাইজাল ইত্যাদি । যদি এই ক্ষতিকর অবৈধ জাল ও সরঞ্জাম নির্মূল না করা যায় তাহলে ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নদী, মাছ বাজার, মাছ ঘাট, হাট, আড়ৎ ইত্যাদিতে অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য।
ইলিশ ও জাটকাসহ অন্যান্য ছোট মাছ, পোনা মাছ নির্বিচারে ধ্বংসের অপতৎপরতায় কেবল ইলিশ সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে তা নয় উপকূলীয় ইকোসিস্টেম প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে এবং ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইলিশ জেলেদের এক বিরাট অংশ বেকার হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবার পরিচালনা কঠিন হচ্ছে এবং ইলিশ সম্পদ হ্রাসের কারণ এর আহরণ কমে যাওয়ায় জীবন ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দূরে ও দূর্গম হওয়ায় সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম এবং সম্প্রসারণ কর্মকান্ডে তাঁদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। এছাড়াও এ অঞ্চলের জনসাধারণকে প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় অনেক জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে। প্রাকৃতিক ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধান তথা তাঁদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তাঁদের যৌথ উদ্যোগ/প্রচেষ্টা খুবই প্রয়োজন। এভাবে ইলিশ সম্পদ স্থায়িত্ত্বশীল হবে এবং উপকূলীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিক ক্ষমতায়ন ঘটবে। এই প্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য সম্পদ এই জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলিশের স্থায়িত্বশীল আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ২৯ জেলার ১৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সমাজের দরিদ্রতার স্তরের অনেক নীচে রয়েছে জেলেদের স্থান। প্রতিদিন তিনবেলা খাবার জোগাড় করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। আর যখন জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় তখন তাদের কষ্ট চরম শিখরে পৌছে। এই দরিদ্রতা নিরসনে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত উপকূলীয় এলাকার ৩০ (ত্রিশ) হাজার জেলে পরিবার স্বাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প অয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.২ প্রকল্পের উদ্দেশ্য (Objectives)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
দক্ষতা বৃদ্ধিপূর্বক জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি; এবং
জেলেদের ১০০০০ (দশ হাজার) বৈধ জাল বিতরণ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টি।
১.৩ প্রকল্পের ফলাফল (Outcome)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পদ্মা নদীসহ অন্যান্য নদীতেও ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। জাটকা আহরণকারী জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জাটকা ও ইলিশ জেলেদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি হবে। ইলিশ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে এবং দেশে মাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং জাটকা ও ইলিশ জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
১.৪ প্রকল্পের আউটপুট (Output)
প্রকল্প সমাপ্তির পর ইলিশের উৎপাদন ১৬% বৃদ্ধি;
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা ও ৬০ (ষাট) টি কর্মশালা আয়োজন;
জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে ১৬616 (ষোল হাজার ছয়শত ষোল) টি অভিযান/ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২৭৮ (এক হাজার দুইশত আটাত্তর) টি সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ত) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ০৬ (ছয়) টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকার ৪.০ (চার) লক্ষ জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের মাঝে জাটকা সংরক্ষণের গুরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল, ফিক্সড নেট/ইঞ্জিন অপসারণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন; এবং
ইলিশ সম্পদের সাথে জড়িত জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
১.৫ প্রকল্পের কার্যাবলি
ইলিশের সহনশীল উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রকল্পে নিম্নবর্ণিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন
করা হবে:
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিদ্যমান মৎস্য পলিসি/আইন/নীতিমালা/বিধি অনুসরণ করে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের আওতায় (১)“সম্মিলিত বিশেষ অভিযান”; (২) বিশেষ অপারেশন এবং (৩) অভিযান পরিচালনা/মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
দরিদ্র জেলেদের সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং ১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ন) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা করার পাশাপাশি ইলিশ, পোস্টার, লিফলেট, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, ভিডিও ডকুমেন্টরিসহ আরও নানা প্রকার প্রচারণামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন জোরদার করার জন্য ১৯ (উনিশ) টি হাই স্পীড এফআরপি বোট ক্রয় ও সরবরাহ;
প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন কর্মশালার আয়োজন
১.৬ উপকারভোগীদের জেন্ডার বিভাজিত উপাত্ত এবং নারীদের সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য
উন্নয়ন কার্যক্রমে দরিদ্র ও নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত, বিশেষ করে দরিদ্র ও দুঃস্থ নারী, যাঁদের পুকুর/ডোবা আছে বা মাছ চাষ করার জন্য অনুরূপ কোন উৎসে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে, তাঁদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নির্বাচন করা হয়ে থাকে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূল স্রোতধারায় নারীদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পে জেলেদের সহায়তার জন্য নানা প্রকার বিকল্প কর্মসংস্থান উপকরণ প্রকল্প হতে প্রদান করা হবে যার সিংহভাগ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে যেমন, সেলাই মেশিন, জাল তৈরি, কুটির শিল্প, মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি ইত্যাদি। এই সকল কার্যক্রমে জেলেদের স্ত্রীদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ প্রকল্পে রাখা হয়েছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়ন সাধন হবে।
১.৭ প্রকল্পের সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী (Population Coverage)
ইলিশের সহনশীল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দরিদ্র জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য মূলত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে জাটকা ইলিশ জেলেদের জীবিকার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আয়বর্ধক বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় এলাকার ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) জেলে পরিবার সাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে সরাসরি মাছ ধরেনা এমন প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.৮ প্রকল্প এলাকা
প্রকল্পটি দেশের ২৯ (উনত্রিশ)টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। নিম্নের চিত্রে প্রকল্পের এলাকাসমূহ
দেখানো হলো:
চিত্র: ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প –এর প্রকল্প এলাকা
১.৯ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়িতব্য জেলা ও উপজেলার তালিকা
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম মৎস্য আইন বাস্তবায়ন ও সচেতনতা সৃষ্টি ২৯ (উনত্রিশ) টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত্রিশ) টি উপজেলায় এবং জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা কার্যক্রম ২৭ (সাতাশ) টি জেলার ১০৬ (একশত ছয়) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পভুক্ত জেলা ও উপজেলার তালিকা নিম্নবর্ণিত সারণিতে উপস্থাপন করা হলো:
ইলিশ প্রকল্পরে জনবল::
১
মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ১৩ তম বিসিএস
প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল - pdilishproject@gmail.com
zhc_farid67@yahoo.com
মোবাইল - ০১৭১১-৪৬৬১৫২
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৪
Md. Zia Haider Chowdhury
BCS (Fisheries), 13th BCS
Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- pdilishproject@gmail.com
Mobile- 01711-466152
01769 459104
২
মোঃ মাহবুবুর রহমান
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল- mahbub.swapon@gmail.com
মোবাইল - ০১৭১১-৭৮৪৮৪০
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৫
Md. Mahbubur Rahman
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mahbub.swapon@gmail.com
Mobile- 01711-784840
01769 459105
৩
মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল mamunc2010@gmail.com
মোবাইল – ০১৭৫৪-৫৯৫১২১
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৬
Md. Mamun-or-Rashid Chowdhury
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mamunc2010@gmail.com
Mobile- 01754-595121
01769 459106
৪
মোছাঃ শিরিন শীলা
বিসিএস (মৎস্য), ৩০ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল shirin.dof@gmail.com
মোবাইল – ০১৭১৮-৮৫৮৭২১
Mast. Shirin Shila
BCS (Fisheries), 30th BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- shirin.dof@gmail.com
Mobile- 01718-858721
৫
মোঃ সুলতান মাহমুদ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sultanfbau@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-৩৮৬৬৩০
Md. Sultan Mahmud
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sultanfbau@gmail.com
Mobile- 01722-386630
৬
সঞ্জয় দেবনাথ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sdnath_3009@yahoo.com
মোবাইল – ০১৮৩৬-১৬৮২১৭
Sanjaya Devnath
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sdnath_3009@yahoo.com
Mobile- 01836168217
৭
মোঃ শামসুল আলম পাটওয়ারী
বিসিএস (মৎস্য)
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল raselnstu@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-০৩৪৭৯২
Md. Shamsul Alam Patwary
BCS (Fisheries), 34th BCS
Monitoring and Evaluation Officer
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- raselnstu@gmail.com
Mobile- 01722-034792
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ:
|
||||
|
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল |
: |
|
|
|
ক. |
শুরুর তারিখ |
: |
জুলাই, 2020 |
|
খ. |
সমাপ্তির তারিখ |
: |
জুন, 2024 |
|
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় (লক্ষ টাকায়) |
: |
|
|
|
মোট |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
জিওবি |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
১.০ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্যাদি
1.১ প্রকল্পের পটভূমি
ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ও আমিষ সরবরাহে ইলিশের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ (প্রায় ১১ ভাগ) এবং জিডিপিতে অবদান ১%। উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ। প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় 80 শতাংশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে।
এক সময় দেশের প্রায় সকল নদ-নদী এবং নদীসমূহের শাখা ও উপনদীতেও প্রচুর পরিমানণ ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। বন্যা বা প্লাবনের বছরে নদীর সাথে সংযোগ আছে এমন সব বিল ও হাওরেও ইলিশ মাছ কখনও কখনও পাওয়া যেত। গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ আশির দশকে সংকটে পড়ে। আশির দশকের পূর্বে মোট মৎস্য উৎপাদনের ২০% ছিল ইলিশের অবদান। ২০০২-২০০৩ সালে ইলিশের অবদান দাঁড়ায় জাতীয় উৎপাদনের মাত্র 8% (1.99 মে.টন)। ইলিশ উৎপাদনের গতিধারায় লক্ষ্য করা যায় যে, বিগত ২০০০-২০০১ সালে ইলিশের উৎপাদন 2.29 মে.টন থাকলেও ২০০১-০২ ও ২০০২-০৩ সালে তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে 2.20 মে.টন এবং 1.99 মে.টনে পৌঁছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। এর অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে বিভিন্ন নদ-নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও কালভার্ট/ব্রীজ নির্মাণের কারণে এবং উজান হতে পরিবাহিত পলি জমার জন্য পানি প্রবাহ ও নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে এবং জলজ পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে ইলিশ মাছের পরিভ্রমণ পথ, প্রজননক্ষেত্র, বিচরণ ও চারণক্ষেত্র (ফিডিং এবং নার্সারি গ্রাউন্ড) দিন দিন পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে এবং আভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশ মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে ক্রমাগত বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, কর্মসংস্থানের অভাব, অতি কার্যকরী একতন্তু বিশিষ্ট ফাঁস জাল এবং মাছ আহরণের উন্নত পদ্ধতির প্রবর্তন ও নৌকা যান্ত্রিকীকরণের ফলে সামুদ্রিক জলাশয়ে ইলিশ মাছের আহরণ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের ইলিশ সম্পদ ধ্বংসের এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণটি হচ্ছে নির্বিচারে ক্ষতিকর জাল ও সরঞ্জাম দিয়ে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ। ইলিশের জন্য খ্যাত এক সময়ের পদ্মা, ধলেশ্বরী, গড়াই, চিত্রা, মধুমতি ইত্যাদি নদীতে বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ইলিশ মাছ প্রায় পাওয়া যায় না বলা যেতে পারে। এসব কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বিচারে অবৈধ জাল যেমন- কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, বেড় জাল, চর ঘড়া জাল, মশারী জাল, পাইজাল ইত্যাদি । যদি এই ক্ষতিকর অবৈধ জাল ও সরঞ্জাম নির্মূল না করা যায় তাহলে ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নদী, মাছ বাজার, মাছ ঘাট, হাট, আড়ৎ ইত্যাদিতে অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য।
ইলিশ ও জাটকাসহ অন্যান্য ছোট মাছ, পোনা মাছ নির্বিচারে ধ্বংসের অপতৎপরতায় কেবল ইলিশ সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে তা নয় উপকূলীয় ইকোসিস্টেম প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে এবং ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইলিশ জেলেদের এক বিরাট অংশ বেকার হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবার পরিচালনা কঠিন হচ্ছে এবং ইলিশ সম্পদ হ্রাসের কারণ এর আহরণ কমে যাওয়ায় জীবন ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দূরে ও দূর্গম হওয়ায় সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম এবং সম্প্রসারণ কর্মকান্ডে তাঁদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। এছাড়াও এ অঞ্চলের জনসাধারণকে প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় অনেক জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে। প্রাকৃতিক ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধান তথা তাঁদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তাঁদের যৌথ উদ্যোগ/প্রচেষ্টা খুবই প্রয়োজন। এভাবে ইলিশ সম্পদ স্থায়িত্ত্বশীল হবে এবং উপকূলীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিক ক্ষমতায়ন ঘটবে। এই প্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য সম্পদ এই জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলিশের স্থায়িত্বশীল আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ২৯ জেলার ১৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সমাজের দরিদ্রতার স্তরের অনেক নীচে রয়েছে জেলেদের স্থান। প্রতিদিন তিনবেলা খাবার জোগাড় করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। আর যখন জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় তখন তাদের কষ্ট চরম শিখরে পৌছে। এই দরিদ্রতা নিরসনে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত উপকূলীয় এলাকার ৩০ (ত্রিশ) হাজার জেলে পরিবার স্বাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প অয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.২ প্রকল্পের উদ্দেশ্য (Objectives)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
দক্ষতা বৃদ্ধিপূর্বক জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি; এবং
জেলেদের ১০০০০ (দশ হাজার) বৈধ জাল বিতরণ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টি।
১.৩ প্রকল্পের ফলাফল (Outcome)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পদ্মা নদীসহ অন্যান্য নদীতেও ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। জাটকা আহরণকারী জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জাটকা ও ইলিশ জেলেদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি হবে। ইলিশ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে এবং দেশে মাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং জাটকা ও ইলিশ জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
১.৪ প্রকল্পের আউটপুট (Output)
প্রকল্প সমাপ্তির পর ইলিশের উৎপাদন ১৬% বৃদ্ধি;
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা ও ৬০ (ষাট) টি কর্মশালা আয়োজন;
জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে ১৬616 (ষোল হাজার ছয়শত ষোল) টি অভিযান/ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২৭৮ (এক হাজার দুইশত আটাত্তর) টি সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ত) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ০৬ (ছয়) টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকার ৪.০ (চার) লক্ষ জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের মাঝে জাটকা সংরক্ষণের গুরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল, ফিক্সড নেট/ইঞ্জিন অপসারণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন; এবং
ইলিশ সম্পদের সাথে জড়িত জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
১.৫ প্রকল্পের কার্যাবলি
ইলিশের সহনশীল উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রকল্পে নিম্নবর্ণিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন
করা হবে:
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিদ্যমান মৎস্য পলিসি/আইন/নীতিমালা/বিধি অনুসরণ করে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের আওতায় (১)“সম্মিলিত বিশেষ অভিযান”; (২) বিশেষ অপারেশন এবং (৩) অভিযান পরিচালনা/মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
দরিদ্র জেলেদের সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং ১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ন) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা করার পাশাপাশি ইলিশ, পোস্টার, লিফলেট, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, ভিডিও ডকুমেন্টরিসহ আরও নানা প্রকার প্রচারণামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন জোরদার করার জন্য ১৯ (উনিশ) টি হাই স্পীড এফআরপি বোট ক্রয় ও সরবরাহ;
প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন কর্মশালার আয়োজন
১.৬ উপকারভোগীদের জেন্ডার বিভাজিত উপাত্ত এবং নারীদের সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য
উন্নয়ন কার্যক্রমে দরিদ্র ও নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত, বিশেষ করে দরিদ্র ও দুঃস্থ নারী, যাঁদের পুকুর/ডোবা আছে বা মাছ চাষ করার জন্য অনুরূপ কোন উৎসে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে, তাঁদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নির্বাচন করা হয়ে থাকে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূল স্রোতধারায় নারীদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পে জেলেদের সহায়তার জন্য নানা প্রকার বিকল্প কর্মসংস্থান উপকরণ প্রকল্প হতে প্রদান করা হবে যার সিংহভাগ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে যেমন, সেলাই মেশিন, জাল তৈরি, কুটির শিল্প, মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি ইত্যাদি। এই সকল কার্যক্রমে জেলেদের স্ত্রীদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ প্রকল্পে রাখা হয়েছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়ন সাধন হবে।
১.৭ প্রকল্পের সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী (Population Coverage)
ইলিশের সহনশীল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দরিদ্র জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য মূলত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে জাটকা ইলিশ জেলেদের জীবিকার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আয়বর্ধক বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় এলাকার ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) জেলে পরিবার সাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে সরাসরি মাছ ধরেনা এমন প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.৮ প্রকল্প এলাকা
প্রকল্পটি দেশের ২৯ (উনত্রিশ)টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। নিম্নের চিত্রে প্রকল্পের এলাকাসমূহ
দেখানো হলো:
চিত্র: ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প –এর প্রকল্প এলাকা
১.৯ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়িতব্য জেলা ও উপজেলার তালিকা
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম মৎস্য আইন বাস্তবায়ন ও সচেতনতা সৃষ্টি ২৯ (উনত্রিশ) টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত্রিশ) টি উপজেলায় এবং জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা কার্যক্রম ২৭ (সাতাশ) টি জেলার ১০৬ (একশত ছয়) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পভুক্ত জেলা ও উপজেলার তালিকা নিম্নবর্ণিত সারণিতে উপস্থাপন করা হলো:
ইলিশ প্রকল্পরে জনবল::
১
মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ১৩ তম বিসিএস
প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল - pdilishproject@gmail.com
zhc_farid67@yahoo.com
মোবাইল - ০১৭১১-৪৬৬১৫২
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৪
Md. Zia Haider Chowdhury
BCS (Fisheries), 13th BCS
Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- pdilishproject@gmail.com
Mobile- 01711-466152
01769 459104
২
মোঃ মাহবুবুর রহমান
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল- mahbub.swapon@gmail.com
মোবাইল - ০১৭১১-৭৮৪৮৪০
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৫
Md. Mahbubur Rahman
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mahbub.swapon@gmail.com
Mobile- 01711-784840
01769 459105
৩
মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল mamunc2010@gmail.com
মোবাইল – ০১৭৫৪-৫৯৫১২১
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৬
Md. Mamun-or-Rashid Chowdhury
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mamunc2010@gmail.com
Mobile- 01754-595121
01769 459106
৪
মোছাঃ শিরিন শীলা
বিসিএস (মৎস্য), ৩০ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল shirin.dof@gmail.com
মোবাইল – ০১৭১৮-৮৫৮৭২১
Mast. Shirin Shila
BCS (Fisheries), 30th BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- shirin.dof@gmail.com
Mobile- 01718-858721
৫
মোঃ সুলতান মাহমুদ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sultanfbau@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-৩৮৬৬৩০
Md. Sultan Mahmud
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sultanfbau@gmail.com
Mobile- 01722-386630
৬
সঞ্জয় দেবনাথ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sdnath_3009@yahoo.com
মোবাইল – ০১৮৩৬-১৬৮২১৭
Sanjaya Devnath
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sdnath_3009@yahoo.com
Mobile- 01836168217
৭
মোঃ শামসুল আলম পাটওয়ারী
বিসিএস (মৎস্য)
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল raselnstu@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-০৩৪৭৯২
Md. Shamsul Alam Patwary
BCS (Fisheries), 34th BCS
Monitoring and Evaluation Officer
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- raselnstu@gmail.com
Mobile- 01722-034792
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ:
|
||||
|
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল |
: |
|
|
|
ক. |
শুরুর তারিখ |
: |
জুলাই, 2020 |
|
খ. |
সমাপ্তির তারিখ |
: |
জুন, 2024 |
|
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় (লক্ষ টাকায়) |
: |
|
|
|
মোট |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
জিওবি |
: |
24,627.53 লক্ষ টাকা |
|
|
১.০ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্যাদি
1.১ প্রকল্পের পটভূমি
ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ও আমিষ সরবরাহে ইলিশের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ (প্রায় ১১ ভাগ) এবং জিডিপিতে অবদান ১%। উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে ইলিশ। প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশ্বে ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় 80 শতাংশ আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী থেকে।
এক সময় দেশের প্রায় সকল নদ-নদী এবং নদীসমূহের শাখা ও উপনদীতেও প্রচুর পরিমানণ ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। বন্যা বা প্লাবনের বছরে নদীর সাথে সংযোগ আছে এমন সব বিল ও হাওরেও ইলিশ মাছ কখনও কখনও পাওয়া যেত। গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ আশির দশকে সংকটে পড়ে। আশির দশকের পূর্বে মোট মৎস্য উৎপাদনের ২০% ছিল ইলিশের অবদান। ২০০২-২০০৩ সালে ইলিশের অবদান দাঁড়ায় জাতীয় উৎপাদনের মাত্র 8% (1.99 মে.টন)। ইলিশ উৎপাদনের গতিধারায় লক্ষ্য করা যায় যে, বিগত ২০০০-২০০১ সালে ইলিশের উৎপাদন 2.29 মে.টন থাকলেও ২০০১-০২ ও ২০০২-০৩ সালে তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে 2.20 মে.টন এবং 1.99 মে.টনে পৌঁছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। এর অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে বিভিন্ন নদ-নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও কালভার্ট/ব্রীজ নির্মাণের কারণে এবং উজান হতে পরিবাহিত পলি জমার জন্য পানি প্রবাহ ও নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে এবং জলজ পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। ফলে ইলিশ মাছের পরিভ্রমণ পথ, প্রজননক্ষেত্র, বিচরণ ও চারণক্ষেত্র (ফিডিং এবং নার্সারি গ্রাউন্ড) দিন দিন পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে এবং আভ্যন্তরীণ জলাশয়ে ইলিশ মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে ক্রমাগত বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, কর্মসংস্থানের অভাব, অতি কার্যকরী একতন্তু বিশিষ্ট ফাঁস জাল এবং মাছ আহরণের উন্নত পদ্ধতির প্রবর্তন ও নৌকা যান্ত্রিকীকরণের ফলে সামুদ্রিক জলাশয়ে ইলিশ মাছের আহরণ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের ইলিশ সম্পদ ধ্বংসের এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণটি হচ্ছে নির্বিচারে ক্ষতিকর জাল ও সরঞ্জাম দিয়ে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ। ইলিশের জন্য খ্যাত এক সময়ের পদ্মা, ধলেশ্বরী, গড়াই, চিত্রা, মধুমতি ইত্যাদি নদীতে বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ইলিশ মাছ প্রায় পাওয়া যায় না বলা যেতে পারে। এসব কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বিচারে অবৈধ জাল যেমন- কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, বেড় জাল, চর ঘড়া জাল, মশারী জাল, পাইজাল ইত্যাদি । যদি এই ক্ষতিকর অবৈধ জাল ও সরঞ্জাম নির্মূল না করা যায় তাহলে ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নদী, মাছ বাজার, মাছ ঘাট, হাট, আড়ৎ ইত্যাদিতে অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য।
ইলিশ ও জাটকাসহ অন্যান্য ছোট মাছ, পোনা মাছ নির্বিচারে ধ্বংসের অপতৎপরতায় কেবল ইলিশ সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে তা নয় উপকূলীয় ইকোসিস্টেম প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে এবং ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইলিশ জেলেদের এক বিরাট অংশ বেকার হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবার পরিচালনা কঠিন হচ্ছে এবং ইলিশ সম্পদ হ্রাসের কারণ এর আহরণ কমে যাওয়ায় জীবন ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দূরে ও দূর্গম হওয়ায় সরকারের সেবামূলক কার্যক্রম এবং সম্প্রসারণ কর্মকান্ডে তাঁদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। এছাড়াও এ অঞ্চলের জনসাধারণকে প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় অনেক জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে। প্রাকৃতিক ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধান তথা তাঁদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তাঁদের যৌথ উদ্যোগ/প্রচেষ্টা খুবই প্রয়োজন। এভাবে ইলিশ সম্পদ স্থায়িত্ত্বশীল হবে এবং উপকূলীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিক ক্ষমতায়ন ঘটবে। এই প্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য সম্পদ এই জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদনের পরিমাণ ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলিশের স্থায়িত্বশীল আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ২৯ জেলার ১৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সমাজের দরিদ্রতার স্তরের অনেক নীচে রয়েছে জেলেদের স্থান। প্রতিদিন তিনবেলা খাবার জোগাড় করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। আর যখন জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় তখন তাদের কষ্ট চরম শিখরে পৌছে। এই দরিদ্রতা নিরসনে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত উপকূলীয় এলাকার ৩০ (ত্রিশ) হাজার জেলে পরিবার স্বাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প অয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.২ প্রকল্পের উদ্দেশ্য (Objectives)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ হলো-
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ;
দক্ষতা বৃদ্ধিপূর্বক জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি; এবং
জেলেদের ১০০০০ (দশ হাজার) বৈধ জাল বিতরণ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টি।
১.৩ প্রকল্পের ফলাফল (Outcome)
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পদ্মা নদীসহ অন্যান্য নদীতেও ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। জাটকা আহরণকারী জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জাটকা ও ইলিশ জেলেদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি হবে। ইলিশ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে এবং দেশে মাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং জাটকা ও ইলিশ জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
১.৪ প্রকল্পের আউটপুট (Output)
প্রকল্প সমাপ্তির পর ইলিশের উৎপাদন ১৬% বৃদ্ধি;
মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা ও ৬০ (ষাট) টি কর্মশালা আয়োজন;
জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে ১৬616 (ষোল হাজার ছয়শত ষোল) টি অভিযান/ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২৭৮ (এক হাজার দুইশত আটাত্তর) টি সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ত) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ০৬ (ছয়) টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকার ৪.০ (চার) লক্ষ জেলেসহ অন্যান্য পেশাজীবী জনসাধারণের মাঝে জাটকা সংরক্ষণের গুরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল, ফিক্সড নেট/ইঞ্জিন অপসারণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন; এবং
ইলিশ সম্পদের সাথে জড়িত জেলেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
১.৫ প্রকল্পের কার্যাবলি
ইলিশের সহনশীল উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রকল্পে নিম্নবর্ণিত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন
করা হবে:
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিদ্যমান মৎস্য পলিসি/আইন/নীতিমালা/বিধি অনুসরণ করে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের আওতায় (১)“সম্মিলিত বিশেষ অভিযান”; (২) বিশেষ অপারেশন এবং (৩) অভিযান পরিচালনা/মোবাইল কোর্ট পরিচালনা;
দরিদ্র জেলেদের সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টি জাটকা জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং ১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল বিতরণ;
প্রকল্প মেয়াদে ৬ (ছয়) টি জেলার ২৩ (তেইশ) টি উপজেলার ১৫৪ (একশত চুয়ান্ন) টি ইউনিয়ন সংলগ্ন ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম পরিচালনা;
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ১০৭২ (এক হাজার বাহাত্তর) টি জনসচেতনতা সভা করার পাশাপাশি ইলিশ, পোস্টার, লিফলেট, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, ভিডিও ডকুমেন্টরিসহ আরও নানা প্রকার প্রচারণামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন;
জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) জন জেলেকে প্রশিক্ষণ প্রদান;
মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন জোরদার করার জন্য ১৯ (উনিশ) টি হাই স্পীড এফআরপি বোট ক্রয় ও সরবরাহ;
প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন কর্মশালার আয়োজন
১.৬ উপকারভোগীদের জেন্ডার বিভাজিত উপাত্ত এবং নারীদের সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য
উন্নয়ন কার্যক্রমে দরিদ্র ও নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত, বিশেষ করে দরিদ্র ও দুঃস্থ নারী, যাঁদের পুকুর/ডোবা আছে বা মাছ চাষ করার জন্য অনুরূপ কোন উৎসে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে, তাঁদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নির্বাচন করা হয়ে থাকে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূল স্রোতধারায় নারীদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পে জেলেদের সহায়তার জন্য নানা প্রকার বিকল্প কর্মসংস্থান উপকরণ প্রকল্প হতে প্রদান করা হবে যার সিংহভাগ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে যেমন, সেলাই মেশিন, জাল তৈরি, কুটির শিল্প, মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি ইত্যাদি। এই সকল কার্যক্রমে জেলেদের স্ত্রীদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ প্রকল্পে রাখা হয়েছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়ন সাধন হবে।
১.৭ প্রকল্পের সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী (Population Coverage)
ইলিশের সহনশীল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দরিদ্র জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য মূলত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে জাটকা ইলিশ জেলেদের জীবিকার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আয়বর্ধক বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় এলাকার ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) জেলে পরিবার সাবলম্বী হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে পাবে যা তাদের দরিদ্রতা হ্রাস করবে। সেই সাথে সরাসরি মাছ ধরেনা এমন প্রায় ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) জন জেলে/সুফলভোগী ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। অর্থাৎ প্রকল্প হতে দরিদ্র জেলেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকারে উপকৃত হবে। ফলশ্রুতিতে প্রকল্পটি হতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার সাথে সাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখবে।
১.৮ প্রকল্প এলাকা
প্রকল্পটি দেশের ২৯ (উনত্রিশ)টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। নিম্নের চিত্রে প্রকল্পের এলাকাসমূহ
দেখানো হলো:
চিত্র: ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প –এর প্রকল্প এলাকা
১.৯ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়িতব্য জেলা ও উপজেলার তালিকা
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম মৎস্য আইন বাস্তবায়ন ও সচেতনতা সৃষ্টি ২৯ (উনত্রিশ) টি জেলার ১৩৪ (একশত চৌত্রিশ) টি উপজেলায় এবং জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা কার্যক্রম ২৭ (সাতাশ) টি জেলার ১০৬ (একশত ছয়) টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পভুক্ত জেলা ও উপজেলার তালিকা নিম্নবর্ণিত সারণিতে উপস্থাপন করা হলো:
ইলিশ প্রকল্পরে জনবল::
১
মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ১৩ তম বিসিএস
প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল - pdilishproject@gmail.com
zhc_farid67@yahoo.com
মোবাইল - ০১৭১১-৪৬৬১৫২
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৪
Md. Zia Haider Chowdhury
BCS (Fisheries), 13th BCS
Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- pdilishproject@gmail.com
Mobile- 01711-466152
01769 459104
২
মোঃ মাহবুবুর রহমান
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল- mahbub.swapon@gmail.com
মোবাইল - ০১৭১১-৭৮৪৮৪০
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৫
Md. Mahbubur Rahman
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mahbub.swapon@gmail.com
Mobile- 01711-784840
01769 459105
৩
মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ চৌধুরী
বিসিএস (মৎস্য), ২৫ তম বিসিএস
উপ প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল mamunc2010@gmail.com
মোবাইল – ০১৭৫৪-৫৯৫১২১
০১৭৬৯ ৪৫৯১০৬
Md. Mamun-or-Rashid Chowdhury
BCS (Fisheries), 25th BCS
Deputy Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- mamunc2010@gmail.com
Mobile- 01754-595121
01769 459106
৪
মোছাঃ শিরিন শীলা
বিসিএস (মৎস্য), ৩০ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল shirin.dof@gmail.com
মোবাইল – ০১৭১৮-৮৫৮৭২১
Mast. Shirin Shila
BCS (Fisheries), 30th BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- shirin.dof@gmail.com
Mobile- 01718-858721
৫
মোঃ সুলতান মাহমুদ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sultanfbau@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-৩৮৬৬৩০
Md. Sultan Mahmud
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sultanfbau@gmail.com
Mobile- 01722-386630
৬
সঞ্জয় দেবনাথ
বিসিএস (মৎস্য), ৩৩ তম বিসিএস
সহকারী প্রকল্প পরিচালক
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন,রমনা, ঢাকা
ইমেইল sdnath_3009@yahoo.com
মোবাইল – ০১৮৩৬-১৬৮২১৭
Sanjaya Devnath
BCS (Fisheries), 33rd BCS
Assistant Project Director
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- sdnath_3009@yahoo.com
Mobile- 01836168217
৭
মোঃ শামসুল আলম পাটওয়ারী
বিসিএস (মৎস্য)
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা
ইমেইল raselnstu@gmail.com
মোবাইল – ০১৭২২-০৩৪৭৯২
Md. Shamsul Alam Patwary
BCS (Fisheries), 34th BCS
Monitoring and Evaluation Officer
Hilsa Development and Management Project
Department of Fisheries, Matshya Bhaban, Dhaka
Email- raselnstu@gmail.com
Mobile- 01722-034792